Basic Computer

 Q1: Generations of Computer / কম্পিউটারের প্রজন্ম

*কম্পিউটারের প্রযুক্তিগত বিবর্তনকে কম্পিউটার প্রজন্ম বলা হয়।

*কম্পিউটারের ৫ টি প্রজন্ম এবং সেগুলো হল: প্রথম প্রজন্ম, দ্বিতীয় প্রজন্ম, তৃতীয় প্রজন্ম, চতুর্থ প্রজন্ম ও পঞ্চম প্রজন্ম।


*বায়শন্য ভাল্ব, ট্রানজিস্টর, আইসি চিপ, মাইক্রোপ্রসেসর ইত্যাদি নির্দেশ করে এক, একটি প্রজন্ম। কম্পিউটারকে প্রজন্ম হিসেবে ভাগ করার প্রথা প্রথম চালু হয়েছিল- IBM কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন থেকে। যান্ত্রিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের ভিত্তিতে কম্পিউটারের প্রজন্ম ভাগ করা হয় পরবর্তীতে। বর্তমানে বিশ্বে যে সকল মাইক্রো কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে এগুলাে সবই মূলত চতুর্থ প্রজন্নের কম্পিউটার। চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল মাইক্রোপ্রসেসর ইউজ। কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা প্রয়ােগ এবং মানুষের কণ্ঠস্বরের কমান্ড পালন করে কাজ করতে পারবে পঞ্চম প্রজন্মেরের কম্পিউটার।


কম্পিউটারের প্রজন্মসমূহ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ


প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার: 1946-1959 [First Generations Computer]: 1G

১৯৪৫ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী নিডি ফরেস্ট বাল্ব আবিষ্কারের পরে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের অসংখ্য ডায়ােড, ট্রায়ােড, বাল্ব, রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর দিয়ে তৈরি হতাে। তাই এই প্রজন্মের কম্পিউটার ছিল আকারে অনেক বড়।
এ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে দেয়া হলঃ


  • (i) ভ্যাকুয়াম টিউব ও বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক বর্তনী ব্যবহা

    (ii) ধীর গতিসম্পন্ন গণনাকারী যন্ত্র

    (iii) আকারে অনেক বড়

    (iv) পাঞ্চ কার্ড এর মাধ্যমে ইনপুট -আউটপুট ব্যবস্থা করা হয়

    (v) মেশিন ভাষার নির্দেশ প্রদান

    (vi) মেমোরি হিসেবে   ম্যাগনেটিক ড্রামের ব্যবহার

  • Examples: ENIAC, EDSAC, EDVAC, UNIVAC-I, IBM 650, IBM 704, IBM 709, Mark, Mark III ইত্যাদি।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার: 1959-1965 [Second Generations Computer]: 2G


কম্পিউটারে বাল্বের পরিবর্তে ট্রানজিস্টর ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রজন্মের অবতারণা হয়। ফলে আকার, আকৃতি, কার্যক্ষমতা, পরিচালনা ইত্যাদিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।
এ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে দেয়া হলঃ

  • (i) ট্রানজিস্টর এর ব্যবহার শুরু হয়;

    (ii) ম্যাগনেটিক কোর মেমোরির ব্যবহার ও সহায়ক মেমোরি হিসেবে ম্যাগনেটিক ডিস্কের  উদ্ভাবন;

    (iii) উচ্চ গতিসম্পন্ন ও উন্নত মানের ইনপুট – আউটপুট ব্যবস্থার প্রচলন

    (iv) মেশিন ভাষার পরিবর্তে উচ্চস্তরের ভাষার( যেমন-COBOL,FORTRAN,ALGOL ইত্যাদি )ব্যবহার;

    (v) টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে ডাটা প্রেরণের ব্যবস্থা;

    (vi) অধিক নির্ভরযোগ্যতা;

    (vii) বাস্তবিক ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু।

  • Examples: RCA 501, RCA 301, CDC 1604, NCR 300, GE 200, Honeywell 200, IBM 1400, IBM 1620, IBM 1600 ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার: 1965-1971 [Third Generations Computer]: 3G


কম্পিউটারে IC (Integrated Circuit) বা সমন্বিত চিপ ব্যবহারের মাধ্যমে তৃতীয় প্রজন্মের সূচনা হয়। এতে কম্পিউটারে আরাে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
এ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে দেয়া হলঃ


  • (i) কম্পিউটারে একীভূত বর্তনীর প্রচলন

    (ii) আকৃতিতে ছোট দাম কম এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি

    (iii) মুদ্রিত আকারে  লাইন প্রিন্টারের ব্যবহার

    (iv) আউটপুট হিসেবে ভিডিও ডিসপ্লে  ইউনিটের প্রচলন

    (v) উচ্চতর ভাষার বহুল ব্যবহার

    (vi) মিনি কম্পিউটারের উদ্ভব

    (vii) অর্ধপরিবাহী স্মৃতির ব্যবহার

  • Examples: IBM 360, IBM 370, PDP-8, PDP-11, GE 600
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার: 1971-Present [Forth Generations Computer]: 4G

চতুর্ব প্রজন্মেই ঘটে কম্পিউটারের বিপ্লব। এ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয় মাইক্রোপ্রসেসর, যেখানে ছােট একটি চিপে কয়েক লক্ষ ট্রানজিস্টর বসানাে সম্ভব। বর্তমান কালের সকল কম্পিউটারই চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার।
এ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে দেয়া হলঃ

  • (i) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার( Artificial  Intelligence) ব্যবহার;

    (ii) বহু মাইক্রোপ্রসেসর এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ বিশিষ্ট একীভূত বর্তনীর ব্যবহার;

    (iii) ট্রানজিস্টর গুলোতে অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার;

    (iv) উন্নত মেমোরি তথা ম্যাগনেটিক বাবল মেমোরির ব্যবহার;

    (v) মানুষের কণ্ঠস্বর এর মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশের অনুধাবন;

    (vi) ডাটা ধারণ ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি;

    (vii) অত্যান্ত শক্তিশালী ও উচ্চ গতি সম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এর ব্যবহার;

    (viii) সুপার কম্পিউটারের উন্নয়ন।

  • উদাহরণ: IBM 3033, IBM 4341, TRS80, Sharp PC-1211, HP 3000 ইত্যাদি।
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার: (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম) [Fifth Generations Computer]: 5G


মূলত পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এখনাে প্রচলন শুরু হয়নি। আমেরিকা, জাপান, চীন, রাশিয়া এ প্রজন্মের কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ কম্পিউটারের বিশেষত্ব হলো প্রতি সেকেন্ডে ১০০ থেকে ১৫০ কোটি লজিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। এ প্রজন্মের কম্পিউটার মানুষের কণ্ঠস্বরের নির্দেশ পালন ক্ষমতাসম্পন্ন হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন হবে।
এ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে দেয়া হলঃ


  • (i) কৃত্রিম বুদ্ধি সম্পন্ন থাকবে;

    (ii) তথ্য ধারণ ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি;

    (iii) অধিক সমৃদ্ধশালী মাইক্রোপ্রসেসর;

    (iv) স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ গ্রহণযোগ্য শব্দ দিয়ে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ;

    (v) বিপুল শক্তি সম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের উন্নয়ন;

    (vi) চৌম্বক কোন স্মৃতির ব্যবহার;

    (vii) প্রোগ্রাম সামগ্রীর উন্নতি ইত্যাদি।


or short suggestion

কম্পিউটারের প্রজন্মসমূহ (Generations of Computer)

কম্পিউটারের প্রজন্ম বলতে কম্পিউটারের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধাপসমূহকে বোঝানো হয়। কম্পিউটারের উদ্ভাবনের পর থেকে এটি বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত হয়েছে। প্রজন্ম অনুযায়ী এই পরিবর্তনগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো।

প্রথম প্রজন্ম (First Generation: 1940-1956)

প্রযুক্তি: ভ্যাকুয়াম টিউব।
বৈশিষ্ট্য:

  • ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার তৈরি হয়।
  • আকারে বড় এবং অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ করত।
  • গতি ছিল ধীর এবং নির্ভুলতাও কম ছিল।
  • মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করত।
    উদাহরণ:
  • ENIAC, UNIVAC।

দ্বিতীয় প্রজন্ম (Second Generation: 1956-1963)

প্রযুক্তি: ট্রানজিস্টর।
বৈশিষ্ট্য:

  • ভ্যাকুয়াম টিউবের পরিবর্তে ট্রানজিস্টর ব্যবহৃত হয়।
  • আকারে ছোট, কম বিদ্যুৎ খরচ এবং তুলনামূলক বেশি নির্ভুল।
  • অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার শুরু হয়।
    উদাহরণ:
  • IBM 1401।

তৃতীয় প্রজন্ম (Third Generation: 1964-1971)

প্রযুক্তি: ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC)।
বৈশিষ্ট্য:

  • একাধিক ট্রানজিস্টরকে ছোট চিপে সংযুক্ত করে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট তৈরি করা হয়।
  • গতি দ্রুত এবং নির্ভুলতা বেশি।
  • ব্যবহার করা সহজ এবং বেশি সংখ্যক ডিভাইসের সঙ্গে কাজ করতে পারত।
    উদাহরণ:
  • IBM 360 সিরিজ।

চতুর্থ প্রজন্ম (Fourth Generation: 1971-বর্তমান)

প্রযুক্তি: মাইক্রোপ্রসেসর।
বৈশিষ্ট্য:

  • মাইক্রোপ্রসেসরের আবির্ভাব ঘটে, যা একটি চিপের মধ্যে কোটি কোটি ট্রানজিস্টর ধারণ করে।
  • পার্সোনাল কম্পিউটারের (PC) যুগ শুরু হয়।
  • উচ্চ গতির কম্পিউটিং এবং উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়।
    উদাহরণ:
  • IBM PC, Apple Macintosh।

পঞ্চম প্রজন্ম (Fifth Generation: বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ)

প্রযুক্তি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং সুপারকন্ডাক্টর।
বৈশিষ্ট্য:

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স এবং মেশিন লার্নিং।
  • সুপার কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটারের উন্নয়ন।
  • স্বয়ংক্রিয় চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
    উদাহরণ:
  • IBM Watson, Google AI।

উপসংহার:

কম্পিউটারের প্রজন্মের ইতিহাস প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিক অগ্রগতি তুলে ধরে। প্রতিটি প্রজন্মে প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে এবং কম্পিউটারের ব্যবহার আরও সহজতর ও শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের কম্পিউটারগুলো ভবিষ্যতে আরও উন্নত হতে থাকবে।


Q2: Uses of computer in different field / বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার


শিক্ষা, বিজ্ঞান গবেষণা, তথ্য যোগাযোগ, বিনোদন, ব্যবস্যা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আজকাল কম্পিউটার এর ব্যবহার দেখা যায়। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।

  1. শিক্ষাক্ষেত্রে 
  2. বিজ্ঞান গবেষণায় (Scientific Research)
  3. তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায়
  4. প্রকাশনার কাজে  (Publication Work)
  5. বিনোদন ক্ষেত্রে 
  6. ব্যবসা-বাণিজ্যে (Business) 
  7. প্রশাসনিক কাজে 
  8. ডেটা প্রসেসিং (Data Processing)
  9. আবহাওয়ার পূর্বাভাস গণনা করতে 
  10. খেলাধুলার ক্ষেত্রে 
  11. ডিজাইন ও শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্রে 


  • শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনতে কম্পিউটার এর ভুমিকা অপরিসীম। এখন প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষণযন্ত্র হিসাবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদ্যালয় থেকে স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রয়োজনীয় সকল কাজ যেমন – অ্যাডমিট কার্ড,মার্কশীট, বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন,ইন্টারনেটের মাধ্যমে (ONLINE TEST) বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সব কাজে কম্পিউটার ছাড়া এখন কল্পনা করা সম্ভব নয়।

  • বিজ্ঞান গবেষণায় (Scientific Research)কম্পিউটারের ব্যবহার

গবেষণার কাজে কম্পিউটারের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ , এখন বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার ব্যবহার করে যে কোনো জটিল গণনাকে অতি দ্রুত সম্পন্ন করেন খুব সহজে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ রিসার্চ ও ডেটা সঞ্চয় করে রাখতে কম্পিউটার অবদান অনস্বীকার্য।বিজ্ঞান গবেষণার কাজে যে সব কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় সেই সকল কম্পিউটার গুলো অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।

  • তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমান সময়ে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে,যার জন্য আমরা বেতার ও টেলিভিশন প্রোগ্রামগুলো সরাসরি উপভোগ করতে পারি, অন্যদিকে  সহজ  ইন্টারনেট ,ই-মেল,ব্যবহার -এর ফলে  খুব কম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে খুব দ্রুত তথ্য পাঠানো বা যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে যা কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া কোনোভাবে সম্ভব নয়।

  • প্রকাশনার কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার (Publication Work)

পুরাতন মুদ্রণ পদ্ধতিকে ছেড়ে নতুন করে  আধুনিক যুগে কম্পিউটার এর সাহায্যে ডেস্কটপ পাবলিশিং ( D.T.P) এর ব্যবহার করে খুব সহেজই সংবাদপত্র, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,বই প্রকাশনার কাজে নতুন যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। 

  • বিনোদন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে বিনোদন জগতে কম্পিউটার গুরুত্ব ভূমিকা পালন করছে, কেননা আজ প্রায় সকল মানুষ  কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যাবহার করে  নানান রকমের গান,সিনেমা, নাটক এবং কম্পিউটার বিভিন্ন  গেমস খেলে বিনোদন উপভোগ করে থাকে। এছাড়া অধিক  ক্ষমতা সম্পর্ণ কিছু কম্পিউটারের মাধ্যমে অ্যানিমেশন ও স্পেশাল এফেক্ট-এর ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং নতুন নতুন  কম্পিউটার গেমস তৈরি করা হয়ে থাকে।

  • ব্যবসা-বাণিজ্যে (Business) কম্পিউটারের ব্যাবহার

আধুনিক সময়ে কম্পিউটারের ব্যবহার ছাড়া ব্যবসা ও বাণিজ্য করা প্রায় অসম্ভব। বিজ্ঞাপন জগৎ থেকে শুরু করে আধুনিক ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ATM-এর ব্যবহার,সব জায়গায় এখন কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া শেয়ার বাজার,রেল ও বিমানের টিকিট বুকিং, অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম প্রভৃতি ক্ষেত্রে হিসাবপত্র রাখার কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।

  • প্রশাসনিক কাজে কম্পিউটার ব্যবহার

বিশ্বের সমস্ত দেশেরই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক কাজে কম্পিউটার আজ অপরিহার্য্য। বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে পর্যবেক্ষণ করতে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স করতে কম্পিউটারের সাহায্য নিতে হয়।

  • ডেটা প্রসেসিং (Data Processing)

ডেটা প্রসেসিং-এর অর্থ হল Row Data সঠিক ও অর্থপূর্ণ তথ্যে পরিণত করা, একেই ডেটা প্রসেসিং বলা হয়। বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য, গবেষণা ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে কম্পিউটারের সাহায্যে অর্থপূর্ণ ডেটা বা ইনফরমেশনে পরিণত করে।

  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস গণনা করতে কম্পিউটারের ব্যবহার

বিজ্ঞানীরা যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করে তা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে। সেই সমস্ত সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠ কৃত্রিম উপগ্রহগুলি নিয়ন্ত্রিত করার পাশাপাশী স্যাটেলাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলি বিশ্লেষণ করে এবং যথেষ্ট নির্ভুলভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।

  • খেলাধুলার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে বিভিন্ন খেলার মাঠে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন – ক্রিকেট খেলার মাঠে থার্ড আম্পায়ার কম্পিউটারের মাধ্যমে গণনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এছাড়া ফুটবল, ক্রিকেট ও অনান্য গেম লাইভ ব্রডকাস্ট করার জন্য অনেক কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে।

  • ডিজাইন ও শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন মূলক কাজ করা হয়ে থাকে কম্পিউটারের ব্যবহার করে যাকে CAD অর্থাৎ কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের ম্যানুফ্যাক্টরিং কারখানায় যে সমস্ত পণ্য বা প্রোডাক্ট উৎপাদন করা হয় তার নকশা বানানো হয়ে থাকে যাকে CAM বা কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফ্যাকচারিং।

এছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার এর সাহায্যে থ্রিডি প্রিন্টিং এর আবির্ভাব ঘটেছে যা এই পদ্ধতি শিল্প-সামগ্রী উৎপাদন খুব কম সময়ে বেশি পরিমানে পণ্য বা প্রোডাক্ট উৎপাদন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।

Q3. Types of hardware and software

হার্ডওয়্যার কাকে বলে?

হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটারের ভৌত উপাদান বোঝায়। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলতে আমরা ‍বুঝি, কম্পিউটারের যে কোনো অংশ যাকে আমরা স্পর্শ করতে পারি।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর কাজ কি সেগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

  • ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য কম্পিউটারে প্রেরণ করা অংশ হল হার্ডওয়্যার এর কাজ।
  • ইনপুট ডিভাইসের ডেটা গুলি পর্দায় বা স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে আউটপুট হার্ডওয়ার ডিভাইস এর কাজ।
  • স্টোরেজঃ ডিভাইসের (HDD, SSD) মাধ্যমে ডাটা সেখানে আপনারা স্টোর করে রাখতে পারবেন ।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের উদাহরণ:

কীবোর্ড, মনিটর, প্রসেসর, মেমরি ডিভাইস, মাউস, সিপিইউ, স্ক্যানার, প্রিন্টার, হার্ড ডিস্ক।

 কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কিছু কিছু যন্ত্রাংশ দেখা যায় পক্ষান্তরে বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশ দেখা যায় না, এটি কম্পিউটার কেসের ভিতরে থাকে।

হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ

হার্ডওয়্যার এর মূলত দুইটি অংশ সেগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

1. Internal Hardware: কম্পিউটারে ভিতরে যে হার্ডওয়ার এর উপাদান রয়েছে তাকে Internal Hardware বলে । এই হার্ডওয়্যার গুলি  দেখার জন্য কম্পিউটার খুলতে হয়। ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার এর উদাহরণ হল
  • CPU
  • MODEM
  • MOTHERBOARD
  • POWER SUPPLY
  • RAM
  • DRIVE
  • GRAPHICS CARD ইত্যাদি
2. External Hardware: কম্পিউটারে বাইরে ইনস্টল করা যে হার্ডওয়ার ডিভাইস থাকে তাকে External Hardware বলে। এই ধরনের হার্ডওয়্যার ডিভাইসকে সহজে দেখা দেয় এবং ছোঁয়া যায়। External Hardware এর উদাহরণ হল
  • KEYBOARD
  • MOUSE
  • PRINTER
  • HARD DRIVE
  • MONITOR
  • SPEAKER
  • HEADPHONE ইত্যাদি
হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি?

ম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিভাইসগুলো চার ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-

  1. ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
  2. প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট (Processing Unite)
  3. আউটপুট ডিভাইস (Output Device)
  4. মেমরি/স্টোরেজ ডিভাইস (Memory/Storage Device)
1. Input Device: ইনপুট ডিভাইস হল এমন এক ধরনের হার্ডওয়ার ডিভাইস যা কম্পিউটারে data বা information প্রদান করে। ইনপুট ডিভাইস কম্পিউটারের ও ব্যবহারকারী মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে তোলে। সবথেকে জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস হলো keyboard ও Mouse এছাড়া আরো অনেক Input Device যেমন Scanner, Web camp, Microphone, Joystick ইত্যাদি ।

2.আউটপুট ডিভাইস (Output Device): আউটপুট ডিভাইস হল এমন এক ধরনের hardware device যা কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস এর প্রদত্ত নির্দেশাবলীগুলি যে যন্ত্রে (monitor, printer) দৃশ্যমান হয় তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে অর্থাৎ এই ডিভাইসগুলি প্রায় ব্যবহারকারীদেরকে তথ্য Screen এ প্রদর্শন করতে ব্যবহার করা হয়। আউটপুট ডিভাইস এর উদাহরণ হল, Monitor, Projector, Printer, GPS, video card ইত্যাদি।

3. প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট (Processing Unite) কম্পিউটারে কোন কিছু করার জন্য প্রথমে ইনপুট দিতে হবে তারপর আমরা সেটির আউটপুট পাব । ইনপুট এবং আউটপুট এর মধ্যে প্রসেসিং ক্রিয়া কাজ করে ডিভাইসের মধ্যে কাজ করে সেটি হচ্ছে Processing Device। এই ডিভাইস গুলি কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে। Processing Device এর উদাহরণ হল Central Processing Unit (CPU), Graphics Processing Unit (GPU) ইত্যাদি।

4. মেমরি/স্টোরেজ ডিভাইস (Memory/Storage Device): স্টোরেজ ডিভাইস হচ্ছে কম্পিউটার  হার্ডওয়ার এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে ডেটা স্থায়ীভাবে বা সাময়িকভাবে স্টোর করে রাখতে পারি । Storage Device এর উদাহরণ হচ্ছে Hard disc, Foloppy disc, SSD, HDD, DVD ইত্যাদি ।

সফটওয়্যার কাকে বলে?

সফটওয়্যার নির্দেশের একটি সেটকে বোঝায়, যা হার্ডওয়্যারকে একটি নির্দিষ্ট সেট কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম করে। সফটওয়্যারটি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য হার্ডওয়্যারে ইনস্টল করা আবশ্যক এবং একইভাবে, কাজগুলি সম্পাদন করার জন্য হার্ডওয়্যারটি অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। যদিও তারা উভয়ই পরস্পর নির্ভরশীল, তবুও তারা একে অপরের থেকে আলাদা।

সফটওয়্যার হল প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টি। যার মাধ্যমে কিন্তু কম্পিউটার পরিচালিত হয়। মনে করেন আপনারা ভিডিও দেখবেন তো আপনারা প্রথমে কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিবেন তারপর কিন্তু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ভিডিওটি ওপেন হয়ে যায়। আপনি যদি কোন ওয়েব ব্রাউজারে যেতে চান যেমন Mozilla Firefox, Google Chrome browser ইত্যাদি তো আপনাদেরকে প্রথমে কম্পিউটারকে এ নির্দেশনা দিতে হবে তারপর কিন্তু আপনারা সেই ব্রাউজার এ গিয়ে আপনারা আপনার কাজ করতে পারেন।

সফটওয়্যারের উদাহরণ হল:

Windows, Google Chrome, Power Point, Adobe Photoshop, Ms Word, Excel, Photoshop, MySQL ইত্যাদি।

সফটওয়্যার কত প্রকার ও কী কী?

 Software প্রধানত তিন প্রকার

1. System software
2. Application software
3. Utility software

1. System software

সিস্টেম সফটওয়্যার হল এমন এক ধরনের প্রোগ্রাম ইন্সট্রাকশন যা ব্যবহারকারী এবং হার্ডওয়্যার  এর মধ্যে ইন্টারফেস (Interface) করে তোলে। System Software  মূলত কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের কার্যক্রম পরিচালনা করে। আপনার কম্পিউটারের মনিটর কিবোর্ড মাউস কেমন ভাবে কাজ করবে সব Information সিস্টেম সফটওয়্যার এর মধ্যে দেওয়া রয়েছে।

System Software মূলত দুই প্রকার ।

a. Operating system

b. Language Translator

Operating system: যে সিস্টেম সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে এবং কম্পিউটারের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে। Operating System এর উদাহরণ হল

  • windows
  • Linux
  • Android
  • IOS ইত্যাদি।
Language Translator: language translator কম্পিউটার প্রোগ্রামার দের নির্দৃষ্ট প্রোগ্রামিং ভাষা করে কোড এ রূপান্তরিত করে এবং কম্পিউটার সিস্টেম এই কোড নির্দেশাবলী গুলি পড়ে এবং কার্যকরী করে। ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর এর উদাহরণ হল
  • compiler
  • Interpreter
  • Assembler
  • Debugger ইত্যাদি।
2. Application software

application হল প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টি, যা শেষ ব্যবহারকারীর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। application software কে end user program ও বলা হয়। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর উদাহরণ হল

  • Microsoft word
  • Google Chrome
  • Firefox
  • Skype
  • Photoshop
  • Microsoft Access
  • windows media player ইত্যাদি।
3. Utility software

utility software কম্পিউটার পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই সফটওয়্যার এর মূল কাজ হলো  বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সনাক্তকরণ, Installation এবং Uninstallation করা, ডাটা ব্যাকআপ করা ,অবাঞ্চিত ফাইল মুছে ফেলা ইত্যাদি। ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার এর উদাহরণ হল

  • antivirus
  • file management system
  • Backup utility
  • Disk cleanup tool
  • windows explorer ইত্যাদি।


Q4. ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের ধরন / types of computer based on capacity 

কাজের ধরন, প্রকৃতি ও ডাটা প্রসেসিং এর ভিত্তিতে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—

(ক) অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog computer)
(খ) ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital computer)
(গ) হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer)

অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog computer)

Analogy ইংরেজি শব্দ থেকে Analog কথাটি এসেছে। অ্যানালগ কথার অর্থ হচ্ছে সাদৃশ্য। চাপ, তাপ, তরল প্রবাহ ইত্যাদি পরিবর্তনশীল ডাটার জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পরিমাপ করে অ্যানালগ কম্পিউটারের কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং সম্পাদিত ফলাফল মিটার বা কাঁটার সাহায্যে প্রকাশ করে। পেট্রোল পাম্পের জ্বালানি সরবরাহ ও মূল্য নির্ণয়ের কাজে; গাড়ি, উড়োজাহাজ, মহাকাশযান ইত্যাদির গতিবেগ পরিমাপের জন্য অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital computer)

ডিজিট (Digit) শব্দ থেকে ডিজিটাল শব্দের উৎপত্তি। ডিজিটাল কম্পিউটারে বর্ণ, সংখ্যা, সংকেত, প্রতীক ইত্যাদি ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডিজিটাল কম্পিউটার ০ (শূন্য) এবং ১ (এক)—এই দুটি বাইনারি ডিজিট দিয়ে সব ধরনের কাজের প্রক্রিয়াকরণ সম্পাদন করে। ডিজিটাল কম্পিউটার খুবই সূক্ষ্ম ও নির্ভুল ফলাফল প্রদান করতে পারে।

হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer)

অ্যানালগ ও ডিজিটাল—এই দুই শ্রেণির কম্পিউটারের প্রযুক্তির সমন্বয়ে মিশ্র প্রযুক্তিতে তৈরি কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে অ্যানালগ অংশ রোগীর রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া, শরীরের তাপমাত্রা ইত্যাদি উপাত্ত গ্রহণ করে এবং ডিজিটাল অংশে ব্যবহার করার জন্য যথাযোগ্য সংখ্যা সংকেতে রূপান্তর করে তা ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করে। ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে রোগীর অবস্থা প্রকাশ করে। –

আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কম্পিউটারকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়

(ক) সুপার কম্পিউটার (Super computer)

(খ) মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe computer)

(গ) মিনি কম্পিউটার (Mini computer)

(ঘ) মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer)।

নিম্নে এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলোঃ

সুপার কম্পিউটার (Super computer): 

সুপার কম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী, দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং ব্যয়বহুল। আকৃতিগত দিক হতে সর্ববৃহৎ এ শ্রেণির কম্পিউটারগুলোর তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা, কার্যসম্পাদনের বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি অবিশ্বাস্য রকমের। সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিপুল পরিমাণ তথ্যবিশ্লেষণ, নভোযান, জঙ্গী বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, পরমাণু চুল্লি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। CRAY-I, CYBER-205 ইত্যাদি সুপার কম্পিউটারের উদাহরণ।

মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe computer)

মেইনফ্রেম কম্পিউটার একটি বড় কম্পিউটার, যার সাথে অনেকগুলো ছোট কম্পিউটার যুক্ত করে একসাথে শতাধিক লোক কাজ করতে পারেন। এ ধরনের কম্পিউটারে একাধিক প্রক্রিয়াকরণ অংশ থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। ব্যাংক, বিমা, অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান এবং বৈজ্ঞানিক কর্মতৎপরতা পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। UNIVAC 1100/01, IBM-4341 ইত্যাদি কম্পিউটার এ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

মিনি কম্পিউটার (Mini computer)

মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে আকারে ছোট এ কম্পিউটার টার্মিনালের মাধ্যমে একসাথে অনেক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। সাধারণত শিল্প, গবেষণা, ব্যাংকিং কার্যক্রমে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ- – P * D * P – 8 , MS / 34 NCR S/9290, PDPII ইত্যাদি।

মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer)

মাইক্রোকম্পিউটার হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি সর্বাপেক্ষা ব্যবহৃত কম্পিউটার সাধারণত একজন লোক একটি মাইক্রোকম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন বলে একে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি-ও বলা হয়। এ ধরনের কম্পিউটার তুলনামূলকভাবে দামে কম, সহজে বহনযোগ্য এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, দাপ্তরিক, সরকারি, বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে মাইক্রোকম্পিউটারের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। IBM PC, Apple Machintosh ইত্যাদি মাইক্রোকম্পিউটারের উদাহরণ।



নিচে MS Word, PowerPoint, এবং Excel-এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলোঃ

MS Word:

MS Word হলো মাইক্রোসফটের একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। এটি সাধারণত ডকুমেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা লেখালেখি, পৃষ্ঠা বিন্যাস, টেবিল, চিত্র যোগ, এবং বিভিন্ন ধরনের ফরম্যাটিং করতে পারে।

উপযোগিতা:

  • অফিস ডকুমেন্ট তৈরি।
  • চিঠি, প্রতিবেদন, প্রবন্ধ লিখা।
  • পৃষ্ঠা নম্বর, হেডার-ফুটার যোগ করা।
  • বিভিন্ন ফাইল ফরম্যাটে সংরক্ষণ, যেমনঃ DOCX, PDF।

MS PowerPoint:

MS PowerPoint হলো একটি উপস্থাপনা তৈরির সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্লাইড তৈরি করে বিভিন্ন ধরণের প্রেজেন্টেশন দিতে পারে।

উপযোগিতা:

  • প্রেজেন্টেশন তৈরিতে।
  • স্লাইডে টেক্সট, ছবি, অডিও, ভিডিও যোগ করা।
  • এনিমেশন এবং ট্রানজিশন ব্যবহার।
  • শিক্ষা, ব্যবসায়িক এবং অফিস প্রেজেন্টেশনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত।

MS Excel:

MS Excel হলো একটি স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম, যা ডেটা সংগঠিত করা, বিশ্লেষণ করা, এবং গাণিতিক হিসাব-নিকাশে ব্যবহৃত হয়।

উপযোগিতা:

  • ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং বিশ্লেষণ।
  • টেবিল তৈরি ও ফর্মূলা ব্যবহার।
  • চার্ট এবং গ্রাফ তৈরি।
  • অ্যাকাউন্টিং, ফিনান্স এবং পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে ব্যবহৃত।

উপসংহার:

এই তিনটি সফটওয়্যার মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজের অংশ এবং এগুলো অফিস, শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


6. Input and Output device in computer

কম্পিউটারের ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস

কম্পিউটারে ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইসের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করানো হয় এবং আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে সেই তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করা হয়।

ইনপুট ডিভাইস

ইনপুট ডিভাইস হল এমন ডিভাইস যা ব্যবহারকারীর ডাটা বা নির্দেশনা কম্পিউটারে প্রবেশ করায়। এটি কম্পিউটারকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।

উদাহরণ:

  1. কী-বোর্ড (Keyboard): টাইপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  2. মাউস (Mouse): পর্দার আইকন বা মেনুতে ক্লিক করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  3. স্ক্যানার (Scanner): ছবি বা কাগজের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
  4. মাইক্রোফোন (Microphone): শব্দ ইনপুট করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  5. ওয়েব ক্যামেরা (Web Camera): ছবি বা ভিডিও ইনপুট করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

আউটপুট ডিভাইস

আউটপুট ডিভাইস হল এমন ডিভাইস যা কম্পিউটারের প্রসেস করা ডাটা ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপন করে।

উদাহরণ:

  1. মনিটর (Monitor): প্রসেস করা তথ্য দৃশ্যমান করে।
  2. প্রিন্টার (Printer): তথ্য কাগজে প্রিন্ট আকারে উপস্থাপন করে।
  3. স্পিকার (Speaker): শব্দ আউটপুট করে।
  4. প্রজেক্টর (Projector): ডাটা বড় পর্দায় দেখায়।
  5. হেডফোন (Headphone): ব্যক্তিগতভাবে শব্দ শোনার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইসের সংযোগ

কিছু ডিভাইস ইনপুট এবং আউটপুট উভয় কাজেই ব্যবহৃত হয়, যেমন:

  • টাচস্ক্রিন (Touchscreen): ইনপুট হিসেবে স্পর্শ গ্রহণ করে এবং আউটপুট হিসেবে তথ্য প্রদর্শন করে।
  • পেন ড্রাইভ (Pen Drive): ডাটা ইনপুট এবং আউটপুট উভয়ই করতে পারে।

উপসংহার

ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার তথ্য গ্রহণ করে এবং আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে সেই তথ্য প্রদর্শন করে।


7. Computer Network 


8. Tpology of bus, star, ring benefits and problems


বাস, স্টার এবং রিং টপোলজির সংজ্ঞা, সুবিধা ও সমস্যা

১. বাস টপোলজি (Bus Topology)

সংজ্ঞা:
বাস টপোলজিতে সমস্ত ডিভাইস একটি সাধারণ ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই ক্যাবলকে "ব্যাকবোন" বলা হয়। ডেটা এই ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডিভাইসগুলোর মধ্যে স্থানান্তরিত হয়।

সুবিধা:

  • এটি সেটআপ করা সহজ এবং খরচ কম।
  • কম সংখ্যক ক্যাবল ব্যবহার করা হয়।
  • ছোট নেটওয়ার্কের জন্য কার্যকর।

সমস্যা:

  • একটি ক্যাবল নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • অনেক ডিভাইস সংযুক্ত হলে ডেটা ট্রান্সফার ধীর হয়ে যায়।
  • সমস্যা শনাক্ত করা কঠিন।

২. স্টার টপোলজি (Star Topology)

সংজ্ঞা:
স্টার টপোলজিতে প্রতিটি ডিভাইস একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইস (যেমন: সুইচ বা হাব) এর সাথে সংযুক্ত থাকে। ডেটা এই কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়।

সুবিধা:

  • একটি ডিভাইস নষ্ট হলেও নেটওয়ার্কের বাকি অংশ সচল থাকে।
  • সমস্যা শনাক্ত ও সমাধান সহজ।
  • উচ্চ গতির নেটওয়ার্কের জন্য কার্যকর।

সমস্যা:

  • কেন্দ্রীয় ডিভাইস নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে যায়।
  • সেটআপের জন্য বেশি ক্যাবল প্রয়োজন এবং খরচ বেশি।

৩. রিং টপোলজি (Ring Topology)

সংজ্ঞা:
রিং টপোলজিতে প্রতিটি ডিভাইস একটি বৃত্তাকার আকারে সংযুক্ত থাকে। ডেটা একটি নির্দিষ্ট দিক অনুসরণ করে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে প্রেরণ করা হয়।

সুবিধা:

  • ডেটা স্থানান্তরের সময় কোনো সংঘর্ষ হয় না।
  • ছোট ও মাঝারি নেটওয়ার্কের জন্য কার্যকর।
  • সহজে ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি করা যায়।

সমস্যা:

  • একটি ডিভাইস নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • নতুন ডিভাইস যোগ করা জটিল।
  • সমস্যা শনাক্ত করা কঠিন।

উপসংহার

প্রত্যেক টপোলজির নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। নেটওয়ার্কের আকার, খরচ, এবং প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত টপোলজি বেছে নেওয়া উচিত।


9. Comperison of Printers 


প্রিন্টারের তুলনা: প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধা

প্রিন্টারের প্রকারভেদ

প্রিন্টার হলো একটি আউটপুট ডিভাইস, যা ডিজিটাল ডেটাকে কাগজে মুদ্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। প্রিন্টারের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন:

  1. ইঙ্কজেট প্রিন্টার (Inkjet Printer)
  2. লেজার প্রিন্টার (Laser Printer)
  3. ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার (Dot Matrix Printer)
  4. থার্মাল প্রিন্টার (Thermal Printer)

১. ইঙ্কজেট প্রিন্টার (Inkjet Printer)

বৈশিষ্ট্য:

  • এটি ইঙ্ক ব্যবহার করে কাগজে ছবি বা লেখা প্রিন্ট করে।
  • সাধারণত রঙিন এবং সাদা-কালো উভয় প্রিন্ট করতে সক্ষম।

সুবিধা:

  • উচ্চ মানের প্রিন্টিং।
  • তুলনামূলকভাবে কম দামের।
  • ছবি বা গ্রাফিক্স প্রিন্টিংয়ে ভালো।

অসুবিধা:

  • ইঙ্ক কার্ট্রিজের খরচ বেশি।
  • ধীর গতিতে প্রিন্ট করে।
  • দীর্ঘ ব্যবহারে মেইন্টেনেন্স প্রয়োজন।

২. লেজার প্রিন্টার (Laser Printer)

বৈশিষ্ট্য:

  • এটি লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রিন্ট করে।
  • সাধারণত সাদা-কালো এবং রঙিন উভয় প্রিন্ট করতে পারে।

সুবিধা:

  • দ্রুত প্রিন্টিং ক্ষমতা।
  • টোনার কার্ট্রিজ দীর্ঘস্থায়ী।
  • বড় পরিমাণে প্রিন্টের জন্য উপযোগী।

অসুবিধা:

  • শুরুতে কেনার খরচ বেশি।
  • রঙিন লেজার প্রিন্টারের খরচ অনেক বেশি।
  • বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক বেশি।

৩. ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার (Dot Matrix Printer)

বৈশিষ্ট্য:

  • এটি একটি ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার, যা কাগজে সূঁচের মতো একটি পিন ব্যবহার করে প্রিন্ট করে।
  • সাধারণত একাধিক কপি প্রিন্ট করতে সক্ষম।

সুবিধা:

  • কম খরচে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার।
  • কঠিন পরিবেশে কার্যকর।
  • কার্বন কপি তৈরিতে দক্ষ।

অসুবিধা:

  • প্রিন্টের গুণমান কম।
  • কাজের সময় অনেক শব্দ করে।
  • ধীর গতির।

৪. থার্মাল প্রিন্টার (Thermal Printer)

বৈশিষ্ট্য:

  • তাপ ব্যবহার করে প্রিন্ট করে।
  • সাধারণত রসিদ বা টিকেট প্রিন্টিংয়ে ব্যবহৃত হয়।

সুবিধা:

  • দ্রুত এবং নীরব প্রিন্টিং।
  • রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম।
  • সহজ অপারেশন।

অসুবিধা:

  • রঙিন প্রিন্টিংয়ে অক্ষম।
  • কাগজে প্রিন্ট দ্রুত ম্লান হয়ে যায়।
  • বিশেষ থার্মাল পেপারের প্রয়োজন।

তুলনামূলক চার্ট:

প্রিন্টারের ধরন প্রিন্টের গুণমান গতি খরচ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবহার
ইঙ্কজেট প্রিন্টার উচ্চ ধীর মাঝারি বেশি ছবি ও গ্রাফিক্স প্রিন্টিং।
লেজার প্রিন্টার খুব উচ্চ দ্রুত বেশি কম অফিসে বৃহৎ পরিমাণ প্রিন্টের জন্য।
ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার কম ধীর কম কম রসিদ, চালান, এবং কার্বন কপি প্রিন্টিং।
থার্মাল প্রিন্টার মাঝারি দ্রুত কম কম রসিদ ও টিকেট প্রিন্টিং।

উপসংহার

প্রিন্টারের ব্যবহার নির্ভর করে কাজের ধরন ও প্রয়োজনীয়তার উপর। ইঙ্কজেট প্রিন্টার ব্যক্তিগত ব্যবহারে উপযোগী, লেজার প্রিন্টার অফিসের জন্য কার্যকর, ডট ম্যাট্রিক্স কপি তৈরিতে কার্যকর, এবং থার্মাল প্রিন্টার দ্রুত রসিদ বা টিকেট প্রিন্টিংয়ের জন্য আদর্শ।


10. Virus ( History, types and example)

ভাইরাসের ইতিহাস এবং প্রকারভেদ: বিশদ আলোচনা ও উদাহরণ

ভাইরাসের ইতিহাস

কম্পিউটার ভাইরাস হলো একটি ম্যালিশিয়াস সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং ডেটা বা সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকে।

  • ১৯৮২: প্রথম ভাইরাস "Elk Cloner" তৈরি হয়, যা অ্যাপল II কম্পিউটারকে আক্রমণ করে।
  • ১৯৮৬: "Brain" নামে প্রথম MS-DOS ভাইরাস তৈরি হয়, যা ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়াত।
  • ১৯৮৮: "Morris Worm" প্রথম ইন্টারনেট ভাইরাস হিসেবে পরিচিত।
  • ১৯৯৯: "Melissa Virus" ই-মেইল মারফত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
  • বর্তমান: র‍্যানসমওয়্যার, ট্রোজান, এবং অন্যান্য ভাইরাস নতুন নতুন আক্রমণ কৌশল ব্যবহার করে।

ভাইরাসের প্রকারভেদ ও উদাহরণ

১. ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস (File Infector Virus)

বর্ণনা:
এই ধরনের ভাইরাস এক্সিকিউটেবল ফাইল (যেমন .exe বা .com ফাইল) আক্রমণ করে। ফাইল খোলা বা চালানোর সময় ভাইরাস সক্রিয় হয়।

উদাহরণ:

  • Cascade Virus: একটি জনপ্রিয় ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস, যা স্ক্রিনে অক্ষর ঝরে পড়ার মতো দেখায়।
  • Sality Virus: এটি ফাইলগুলিকে সংক্রমিত করে এবং কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করে।

ক্ষতি:
ডেটা নষ্ট করা এবং ফাইল চালাতে অক্ষম করা।

২. বুট সেক্টর ভাইরাস (Boot Sector Virus)

বর্ণনা:
এই ভাইরাস বুট সেক্টরকে সংক্রমিত করে, যা কম্পিউটার চালু করার সময় প্রথমে কার্যকর হয়।

উদাহরণ:

  • Brain Virus: এটি প্রথম বুট সেক্টর ভাইরাস।
  • STONED Virus: এটি সিস্টেম চালুর সময় বুট সেক্টর আক্রমণ করে।

ক্ষতি:
সিস্টেম চালু না হওয়া বা ডেটা হারিয়ে যাওয়া।

৩. ট্রোজান হর্স (Trojan Horse)

বর্ণনা:
এই ভাইরাস নিরীহ প্রোগ্রামের মতো দেখায়, কিন্তু আড়ালে ক্ষতিকারক কাজ করে।

উদাহরণ:

  • Emotet Trojan: এটি ব্যাংকিং ডেটা চুরি করে।
  • Zeus Trojan: এটি ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ক্ষতি:
ডেটা চুরি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ এবং ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ।

৪. ওয়ার্ম (Worm)

বর্ণনা:
ওয়ার্ম ভাইরাস কম্পিউটারের মধ্যে নিজেকে পুনরায় তৈরি করে এবং ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়ায়।

উদাহরণ:

  • Morris Worm: প্রথম ইন্টারনেট ওয়ার্ম।
  • ILOVEYOU Worm: এটি ই-মেইলের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়েছিল।

ক্ষতি:
নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বৃদ্ধি করা এবং সিস্টেম ধীর করা।

৫. পলিমরফিক ভাইরাস (Polymorphic Virus)

বর্ণনা:
এই ভাইরাস প্রতিবার ছড়ানোর সময় নিজেকে পরিবর্তন করে, ফলে এটি শনাক্ত করা কঠিন।

উদাহরণ:

  • Storm Worm: এটি বিভিন্ন রূপে ছড়িয়ে পড়ে।
  • CryptoLocker: এটি পলিমরফিক প্রকৃতির একটি র‍্যানসমওয়্যার।

ক্ষতি:
ভাইরাস সনাক্তকরণ জটিল করে তোলে।

৬. র‍্যানসমওয়্যার (Ransomware)

বর্ণনা:
এই ভাইরাস কম্পিউটারের ডেটা এনক্রিপ্ট করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে।

উদাহরণ:

  • WannaCry Ransomware: এটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ডিভাইসকে আক্রমণ করেছিল।
  • Petya Ransomware: এটি সিস্টেম ফাইল লক করে এবং পেমেন্ট দাবি করে।

ক্ষতি:
ডেটা লক হয়ে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি।

৭. স্পাইওয়্যার (Spyware)

বর্ণনা:
এই ভাইরাস গোপনে ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ নজরদারি করে এবং তথ্য চুরি করে।

উদাহরণ:

  • CoolWebSearch: এটি ব্রাউজার অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করে।
  • DarkComet: এটি কী লগার হিসেবে কাজ করে।

ক্ষতি:
ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘন।

উপসংহার

কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে এবং প্রতিটির কার্যকারিতা ও আক্রমণ কৌশল ভিন্ন। ভাইরাসের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার, সফটওয়্যার আপডেট রাখা, এবং সন্দেহজনক ফাইল বা লিঙ্ক এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Political Sociology ( Salima Jannath Lyra )

Bepari sir - Politics and Governance in South Asia